শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নওগাঁয় ভিজিডি কর্মসূচির কার্ড-ধারীদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে চাল বিতরণ করার অভিযোগ কুরবানির হাটে অনিয়ম: ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইউএসএস-এর উদ্যোগে লালমনিরহাটে বৃক্ষরোপণ টানা বৃষ্টিপাতে থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা ডিমলায় পশুর হাটে চলছে ইচ্ছে মতো খাজনা আদায়, ৫০০ টাকার খাজনায় ভ্যাট ৫০০ সারা দেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি সিরাজগঞ্জের গাবগাছি হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ শরণখোলা উপজেলার ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির গঠনে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
নিত্যপণ্যের বাজার চরম অস্থির

নিত্যপণ্যের বাজার চরম অস্থির

নিউজ ডেস্কঃ হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। দেশি পেঁয়াজ, ব্রয়লার ও দেশি মুরগি, ডিম, গরুর মাংস, মাছ, সবজিসহ বেশির ভাগ পণ্যের দামই বেড়েছে। মহানগরীর রামপুরা, মালিবাগ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাড্ডাসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ এখন দেশি পেঁয়াজের মৌসুম এবং সরবরাহ ভালো থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এখনো ২০ থেকে ২৫ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।

মাসখানেক ধরে অস্থিরতা মুরগির বাজারে। ব্রয়লার মুরগি তিন ধাপে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। অথচ এই মুরগি এ বছরের শুরুতেও ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি। মাসখানেক আগে অবশ্য বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। পাকিস্তানি কক হিসেবে পরিচিত ছোট আকারের মুরগি এক মাস আগে ২০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন এই মুরগি কিনতে কমপক্ষে ২৫০ টাকা লাগছে। কেজি হিসাবে করলে দাম ৫০০ টাকা বা তারও বেশি।

গরুর মাংস কিনতে গেলেও করতে হবে বাড়তি খরচ। প্রতি কেজি গরুর মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে। যদিও বছরের শুরুর দিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মুরগির বদলে কেউ যদি মাছ খাওয়ার চিন্তা করে তবে সেখানেও তাকে বাড়তি খরচ করতে হবে। বেশির ভাগ মাছের দামই এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। অথচ বাজারে মাছের সরবরাহে কোনো ঘাটতি রয়েছে বলে জানা যায়নি। খোদ বিক্রেতারাও বলছে না যে বাজারে মাছের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে।

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা ইদ্রিস মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাছের সরবরাহে সমস্যা নেই। তবে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যে কারণে আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করি।’

ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতি কেজি টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক কেজি বা তারও একটু বেশি ওজনের রুই মাছ ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বছরের শুরুতে। তবে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। মলা, পুঁটি মাছের কেজিও বাজারভেদে এখন ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাড়তি দামের কথা চিন্তা করে কেউ যদি শুধু ডিম কিনতে যায় সেখানেও একেবারে সস্তায় পাওয়ার সুযোগ নেই। ব্রয়লার মুরগির ডিম হালিপ্রতি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়, যা এ বছরের শুরুতে ছিল ৩২ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বাজার বিশ্লেষণের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের এ সময়ে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ টাকা দরে। যদিও সেটা উৎপাদন খরচের চেয়েও কম বলে দাবি উৎপাদকদের। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হানিফ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এ কারণে দাম বাড়তি।

এখানেই শেষ নয়! কেউ যখন মাছ, মাংস বা ডিম কিনে প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে যাবে তখন আরেক দফা মন খারাপ হবেই হবে। কারণ সবজি মানেই এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। বেগুণ ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল, চিচিংগা, ঢেঁড়স, বরবটি, লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিংগা ১০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁপের দাম ২৫ টাকা ছিল সেটাও এখন ৪০ টাকা। তবে আলু এখনো ২০ টাকায় মিলছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com